শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় ইউনিয়ন পোকখালী গোমাতলী এলাকায় চাচার উপর্যুপরী দা’র কোপে ভাতিজা খুন হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন প্রক্রিয়া শেষ করেছে। জানা যায়, বর্ণিত ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় হাকিম আলীর পুত্র কামালের সাথে মৃত হাজী আবদু শুক্কুরের পুত্র ছৈয়দ আলমের বিরোধ চলে আসছিল। এমনকি উক্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় মেম্বারের কাছে শালিসও ছিল। বিগত ৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছৈয়দ আলমের ছোট ভাই নুুরুল আলম (৪৮) ঘর থেকে বের হয়ে বাজারে আসার পথে শালিস বিচারের জের ধরে কামাল উদ্দীন ও তার পুত্র এমরান শাহি ও কাশিম আলীর পুত্র রুবেলসহ কয়েকজন দূবর্ৃৃত্ত তাকে উপর্যুপরী দা দিয়ে কোপায়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। নুরুল আলমকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বলে জানায় বড়ভাই মৌলভী ছৈয়দ আলম। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও ময়না তদন্ত শেষে পরদিন লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মৌলভী ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাহাঙ্গীর আলমের কাছে তদন্তাধীন। জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর জানান, আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় এমইউপি আলা উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিচার শালিসের বিষয়টি জায়গা-জমি নিয়ে ছিল। তবে পুকুর সংক্রান্ত কোন বিচার তার কাছে ছিল না। অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।